মো: আসাদ চৌধুরী হানিফ :- চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় চোখে পড়ার মতো বেড়ে উঠেছে অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান খোলা রাস্তায়, জনবহুল এলাকায় দিনের পর দিন চলছে এই বিপজ্জনক ও অবৈধ ব্যবসা, অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো কার্যকর নজরদারি নেই একাধিক স্পট ঘুরে দেখা গেছে এসব দোকানে দিনে অন্তত ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ লিটার তেল কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। দোকানের কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই, নেই কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা অথচ বিস্ফোরক এই পদার্থ রাস্তায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। দৈনিক আলোচিত প্রতিদিন-কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকান কর্মচারী বলেন ব্যবসা করি ঠিকই, কিন্তু লাভ হয় না। দোকান ভাড়া, দলীয় লোকজনের চাঁদা, স্থানীয় বড় ভাইদের মাশোয়ারা, আর পুলিশের মাসিক টহল খরচ দিতে দিতে সব শেষ হয়ে যায়আরেক ব্যবসায়ী বলেন, এই ব্যবসা করে কোনোভাবে ডালভাত খেয়ে বেঁচে আছি। সারাদিন ভয় নিয়ে থাকতে হয় কখন কে এসে ধরবে বা টাকা দাবি করবে এই অবৈধ ব্যবসার পেছনে পুলিশ, রাজনৈতিক প্রভাবশালী ও কিছু নামধারী অনলাইন পোর্টালের লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে দোকানদারদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা নিচ্ছে বলে দাবি উঠেছে, যার কারণে এই বিপজ্জনক ব্যবসা নির্বিঘ্নে চলতে পারছে স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন, দিপু (ডিপার্টমেন্ট অব এক্সপ্লোসিভ বা সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্মকর্তারা কি আদৌ নজর রাখছেন? নাকি তারা চোখে কাঠের চশমা পরে বড় চেয়ারে বসে আছেন?চট্টগ্রামের সচেতন মহল দ্রুত এই অবৈধ তেল ব্যবসা বন্ধে কঠোর অভিযান, তদন্ত এবং সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিগ্রস্তদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
সম্পাদক : সৈয়দ মিজান সমরকন্দী
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত