সাংবাদিক উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক আমার সংগ্রাম পত্রিকার চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান সৈয়দ মিজান সমরকন্দী বলেন বর্তমান সময়ে সাংবাদিকতার পরিচয় ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধে জড়িত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি সৈয়দ মিজান উল্লাহ সমরকন্দী সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। এই পেশার সঙ্গে কোনো দালাল, চাঁদাবাজ বা অপরাধীর সম্পর্ক থাকতে পারে না। তিনি তার অভিজ্ঞতা থেকে উল্লেখ করেন আমি নিজে দেখেছি—বিআরটিসির এক দালাল এবং সিএনজি চালক তারাও এখন সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করছেন। সৈয়দ মিজান সমরকন্দী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বর্তমানে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ঢাকায় কিছু সম্পাদক রয়েছেন, যাদের হাতে টাকা দিলেই যে কেউ সাংবাদিক পরিচয় পত্র পেয়ে যাচ্ছে—হোক সে ড্রাইভার, গাজা ব্যবসায়ী বা বিআরটিসির দালাল বা সম্পূর্ণ অচেনা কেউ। এটি সাংবাদিকতার মোহান পবিত্রতাকে অপমান করে যাচ্ছে নিয়মিত। এই কারনে চট্টগ্রামের পেশাদার সাংবাদিকদের মান সম্মান পূর্ণ হচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে পেশাদার সাংবাদিকরা। তিনি আরও বলেন, আমি সকল প্রকৃত সাংবাদিক, সম্পাদক এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করবো, কেউ যেন যাচাই-বাছাই ছাড়া এই মূল্যবান পেশার পরিচয় পত্র তাদের হাতে তুলে না দেন। সাংবাদিকতা শুধু পরিচয় নয়, এটি দায়িত্ব, চেতনা ও জনসেবার প্রতীক একটি পেশা। বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে এবং সাংবাদিকতার দায়িত্বের অজুহাত দিয়ে কিছু বিারটিসির দালাল, সি এনজি চালক ড্রাইভার, যৌন পল্লীর নারী, মাদক ব্যবসায়ী তারা নিয়িমিত চট্টগ্রাম শহরের আবাসিক হোটেলে, তেলের দোকানে,মানুষের বাসা বাড়িতে, পণ্য উৎপাদন কারখানা প্রতিষ্টানে গিয়ে তাদের কিছু পত্রিকার ভিজিটিং কার্ড দিয়ে প্রতিমাসে টাকা দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে এমনটি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শহরের অনেক নাম করা পরিচিত ব্যবসায়ীরা, সরেজমিনে দেখা যায় চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন প্রসিদ্ধ পর্যটন এলাকায় অবস্থিত কিছু আবাসিক হোটেলের মালিকরা জানিয়েছেন আমরা সরকারি লাইসেন্স নিয়ে বৈধ ব্যবসা করতেছি, আমাদের আবাসিক হোটেল থেকে কেন সাংবাদিকদের প্রতিমাসে টাকা দিতে হবে আমরা বুঝতেছি না। পতেঙ্গা এলাকার এক আবাসিক হোটেলের মালিক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) তিনি জানিয়েছেন গত দুই একদিনে অনেক সাংবাদিক আমাদের হোটেলে এসে তাদের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে গেছে এবং বলে গেছে প্রতি মাসের দশ তারিখ টাকা দেওয়ার জন্য। যাহার কল রেকর্ড ধারণ করা আছে। এই মন্তব্য সাংবাদিক মহলে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। অনেকেই বলছেন এখনই সময় এই পেশাকে দালাল ও অপেশাদারদের হাত থেকে রক্ষা করাতে হবে। যাতে জনগণের আস্থা আবার ফিরিয়ে আনা যায়।
সম্পাদক : সৈয়দ মিজান সমরকন্দী
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত