প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দেশের সুবিশাল সমুদ্র, উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। উপকূলীয় এবং দ্বীপাঞ্চলে জনসচেতনা বৃদ্ধি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কোস্ট গার্ড এর ভূমিকা অপরিহার্য। কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন অধীনস্থ স্টেশন/ আউটপোস্ট এর মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, অগ্নি নির্বাপনী মহড়া, পরিবেশগত উন্নয়ন, ত্রাণ বিতরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর পূর্ব সতর্কতা ও বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা, দুর্যোগ পরবর্তী করনীয়, মাদকাশক্তির ক্ষতিকর দিক, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরনসহ বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এপ্রেক্ষিতে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নকল্পে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের নির্দেশনাক্রমে কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন কর্তৃক সেন্টমার্টিন দ্বীপের সকল স্তরের জনগণ, ছাত্র ও কর্মজীবী মানুষের সম্পৃক্ততায় গত ১১ মে ২০২৫ তারিখ হতে বর্ণিত সকল কার্যক্রমের উপর ০৭ দিন ব্যাপী বিশেষ কর্মশালা আয়োজন করা হয়। সেন্টমার্টিনে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যপস্থাপনা অধিদপ্তর এবং পরিবেশ ও বন বিভাগসহ সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। উপরোক্ত আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসীর জন্য নিরাপত্তা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে প্রতিয়মান। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ২৪ ঘন্টা টহল জারি রেখেছে। যার মাধ্যমে কোস্ট গার্ডের আওতাধীন উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং জনসচেতনতা অনেকাংশে উন্নত হয়েছে এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বদ্ধ পরিকর। সেন্টমার্টিন এ বসবাসরত জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক ভবিষ্যতেও এধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।