প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ ভাবনা নিয়ে আলোচনার মধ্যে বাংলাদেশের রাজনীতি এক ধরনের অস্থির সময় পার করছে।
তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে দু'দিন ধরে যে জল্পনা-কল্পনা চলছিলো, সেটি নাকচ করে দিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
উপদেষ্টা পরিষদের এক বিবৃতিতেও অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান জানানো হয়েছে।
যদিও রাজনীতির গতিপথ কোনদিকে যাচ্ছে সেটা এখনো পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না।
শনিবার সন্ধ্যার পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক করার কথা।
শনিবার দুপুরে ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভার পর উপদেষ্টা পরিষদের 'অনির্ধারিত বৈঠক' হয়।
সভা শেষে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, "উনি তো চলে যাবেন- বলেননি। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন উনি আমাদের সাথে থাকছেন, অন্য উপদেষ্টারাও থাকছেন।"
"আমরা যে কাজ করছি, আমাদের ওপরে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সে দায়িত্ব পালনে অনেক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে; কিন্তু আমরা সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমাদের অর্পিত দায়িত্ব, এটা তো বড় দায়িত্ব, এটার ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যত, বহু বছরের ভবিষ্যত, এ দায়িত্ব ছেড়ে তো আমরা যেতে পারব না।"
তবে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ প্রসঙ্গে যেটা ঘুরেফিরে সামনে আসছে সেটি হচ্ছে দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতার ইস্যু যেটা আজকের বৈঠকেও সামনে এসেছে বলে জানান মি. মাহমুদ।
পরিকল্পনা উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টার পদত্যাগের জন্য বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে যেসব দাবি প্রসঙ্গে তিনি সেটা দলীয়ভাবে দাবি করা হয়েছে কিনা সে প্রশ্ন রেখে উল্লেখ করেন ''সেরকম কিছু হলে আমরা তো কেউ স্বপ্রণোদিত হয়ে এখানে আসিনি, এই দায়িত্ব খুব উপভোগ্য দায়িত্ব না, সেরকম হলে আমরা যে কেউ পদত্যাগ করতে পারতাম। কিন্তু আমাকে বলা হয়েছে, আসলে দলীয়ভাবে এমন কোনও কথা আসেনি, বরং উল্টোটাই হবে।''
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এই 'অনির্ধারিত বৈঠক' চলাকালীন 'জরুরি কাজ আছে' বলে বেরিয়ে যান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তার বেরিয়ে যাওয়ার পরপর উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াকেও বের হতে দেখা গেছে বলে জানা যায়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজকের বৈঠকে ১৯ জন উপদেষ্টা অংশ নেন।
সম্পাদক : সৈয়দ মিজান সমরকন্দী
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত