গত মাসের ১৭ তারিখে চট্টগ্রাম নগরে সাংবাদিক এবাদুল হোসেনের উপর সংঘটিত ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় অবশেষে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের বকুলিয়া থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি গাফফারকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন পলাতক থাকা গাফফার হামলার পর থেকে গ্রেফতার এড়াতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাকুলিয়া থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল নগরের বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি চালিয়ে অবশেষে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারের সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
প্রসঙ্গত, গত মাসের ১৭ তারিখ রাতে চট্টগ্রাম নগরের একটি এলাকায় দুঃসাহসিকভাবে সাংবাদিক এবাদুল হোসেনের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এসময় তাকে মারাত্মকভাবে আহত করা হয় এবং দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় একাধিক আসামির নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ, গণমাধ্যম কর্মী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো শুরু থেকেই এই হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছিল। তারা গাফফারের গ্রেফতারকে ন্যায়বিচারের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, “এই হামলা শুধু একজন সাংবাদিকের উপর নয়, এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপরও আঘাত। আমরা চাই, অবিলম্বে বাকি আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং সকল দোষীর উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।”
উল্লেখ্য, সাংবাদিক এবাদুল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে অপরাধ, অনিয়ম ও দুর্নীতি উন্মোচন করে আসছেন। ধারণা করা হচ্ছে, পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে প্রকাশিত একটি সংবেদনশীল প্রতিবেদনই এই হামলার মূল কারণ হতে পারে।