প্রতিনিধি:-খুলনার কয়রায় বিনামূল্যে দিনব্যাপী চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল নয়টায় কয়রা উপজেলার এস. ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে ফোকাস এইড সংস্থার উদ্যোগে ও গ্রামীন চক্ষু হাসপাতালের সহযোগিতায় এই ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন এস.ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আতিয়ার রহমান ও নারানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহঃশিক্ষক জি.এম বাবুল আক্তার।
দিনব্যাপী এই চিকিৎসা ক্যাম্পে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চক্ষু রোগীরা সেবার জন্য আসেন। সেবা নিতে আসা ৭০ উর্ধ্বো বয়স্ক চক্ষুরোগী কায়সার আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চোখ দিয়ে পানি পড়ে, ঝাপসা দেখি কিন্তু খুলনায় নিয়ে যাওয়ার মত কেউ নেই আজকে এখানে বড় ডাক্তার আসবে শুনে আসছিলাম বাড়িয়ালাকে নিয়ে। ডাঃ দেখে বলেছে ছানি অপারেশন করা লাগবে, তারপর এখান থেকে কোন টাকা পয়সা ছাড়া অপারেশন করাই দিবে, গরম তাই এখন গাছতলায় বসে অপেক্ষা করছি গাড়ি আসলে এখানে যারা বসে আছে সবাইকে নিয়ে যাবে আবার অপারেশন শেষে একমাসের ওষাধ দিয়ে এই জায়গায় নামিয়ে দিবে। বাড়ি ওয়ালাকে তারা পরিক্ষা নিরীক্ষা করে ড্রপ ও চশমা দিয়ে দিছে কোন টাকা পয়সা নেইনি।
ক্যাম্পের আয়োজক ফোকাস এইড এর রাসেল আহাম্মেদ জানান, পাশ্ববর্তী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থাকলেও এখান থেকে ১২০ কি.মি দুরুত্বে চক্ষু হাসপাতালে যেয়ে চক্ষু সেবা নিতে হয়। ওখানে যেয়ে হতদরিদ্র, অসহায় ও দুস্থরা চিকিৎসা নিতে সক্ষম হননা। এখানে যে প্রায় পাঁচশত রোগী এসেছে তারা অনেকটা নিরুপায় হয়ে এই ক্যাম্পে এসেছে। আমারা চেষ্টা করছি প্রতান্ত এই অঞ্চলের সকল চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবার আওতায় আনতে।
উক্ত ক্যাম্পে গ্রামীন চক্ষু হাসপাতালের ডাঃ সোহানুর রহমান, আরাফাত হোসেন সহ নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম প্রায় পাঁচশত রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করেন এবং বিয়াল্লিশ জন রোগীকে লেন্স ছানি ও নালী অপারেশনের জন্য সাতক্ষীরা নিয়ে যান।
এসময় ফোকাস এইড এর সাধারণ সম্পাদক এস.এম মনিরুল ইসলাম, নিরাপদ মুন্ডা, মোহিদ হাসান, মোঃ হাফিজ, মোছাঃ রুকাইয়া খাতুন, ফাতেমা জিন্নাত সহ স্টুডেন্ট ব্লাড ডোনার ক্লাবের সভাপতি ও অনান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : সৈয়দ মিজান সমরকন্দী
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত