চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার ৩৯নং ওয়ার্ডস্থ বন্দরটিলা শাহ প্লাজারের ইনচার্জ ফোরকান ও মনিরুল ইসলাম নুরুল ইসলামের এর কাছে ছেলেকে মারধরের বিষয়টি জানতে চাইলে প্লাজারের ইনচার্জ ফোরকান মনিরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম তথ্য না দিয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলেকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর ও হত্যার চেষ্টা করেন। পরে গত ২২ জুন রবিবার ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন দৈনিক ঘোষণা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম,মামলা করার ১২ ঘন্টার মধ্যে তিন হামলাকারীর সদস্য কে গ্রেফতার করেছেন ইপিজেড থানা পুলিশ।রাতের সাড়ে ৯টার সময় নগরীর বন্দরটিলা শাহ প্লাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১৮ জুন বৃহস্পতিবার রাতের সাড়ে ১০ টার সময় এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন আহত জাতীয় দৈনিক ঘোষণা পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম।এবিষয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদমাধ্যম কে বলেন,গত ১৮ জুন বৃহস্পতিবার রাতের সাড়ে ৯ টার সময় আমার ছেলে কে শাহ প্লাজারের ইনচার্জ ফোরকান মনিরুল ইসলাম ও ক্যাশিয়ার নুরুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা করেন।এবং আমার ছেলেকে লোহাড় রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন,আঘাত করার পর আমার ছেলের মাথা ফেটে যায়,একপর্যায়ে স্থানীয়রা একটি ফার্মেসীতে নিয়ে প্রাথমিকভাবে মাথায় ৫টি সেলাই করেন। সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম আরও বলেন,আমি বিষয়টি জানতে গেলে আমাকেও ভুয়া সাংবাদিক বলে মারধর ও হত্যা করার চেষ্টা করেন শাহ প্লাজারের ইনচার্জ ফোরকান মনিরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম নামক এই তিন ব্যক্তি। সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম আরও বলেন,আমি সহ তিন থেকে চারজন জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গেলে সাংবাদিক পরিচয় পেলে শাহ প্লাজারের ইনচার্জ ফোরকান মনিরুল ইসলাম ও নুরুল দ্বিতীয় তলায় অফিস কক্ষে আটকে রেখে চরথাপ্পর ও লোহাড় রড দিয়ে মারধর করেন। সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের মারধরের বিষয়টি নিয়ে চট্টগ্রাম সাংবাদিক মহলের মধ্যে ক্ষোভবিরাজ করছে। সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর গত ২২ জুন রবিবারে ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন,মামলা নম্বর ১২/২০২৫/ মামলা করার ১২ ঘন্টা পর হামলাকারীদেরকে গ্রেফতার করেন ইপিজেড থানা পুলিশ। তথ্য সূত্রে জানা গেছে শাহ প্লাজারের ক্যাশিয়ার নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ফোরকান ও মনিরুল ইসলাম এই হামলা চালান। শাহ প্লাজারের ইনচার্জ ফোরকান মনিরুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামিলীগের দোষার ছিলেন।বর্তমানে আওয়ামিলীগের দোষার হয়ে ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষ কে মারধর ও নির্যাতন করেছেন বলে জানা গেছে। এবিষয়ে ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জামির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা আসামী ধরেছি এবং আগামীকাল পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে প্রেরন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।