চট্টগ্রাম সিনামা প্যালেসের মোড়ে, দরবার আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা, প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ এলাকাবাসীর।চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন সিনামা প্যালেস মোড়ে দরবার আবাসিক হোটেল ব্যবসার আড়ালে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা, দরবার হোটেলের মালিক পঙ্গু বাবু নামে পরিচিত
সে অসুস্থতার আড়ালে কাজল কে দিয়ে হোটেলে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে। কক্ষে কক্ষে মধু কন্যাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা পরিচালনা করছেন হোটেল মালিক বাবু
দরবার হোটেলে রয়েছে পতিতালয়ে। পাশাপাশি চলছে মাদক সেবন ও জুয়ার আড্ডা, তবে প্রশাসন এ ব্যাপারে বার বার অভিযান করে পতিতা দের গ্রেপ্তার করলেও আইনের ধারা না থাকার কারনে এই ব্যবসা বন্ধ করা যাচ্ছে না, সরজমিনে দেখা যায়, দরবার আবাসিক হোটেলে রুমের মধ্যে কয়েকজন নারী বসে আছে। ক্যামেরার উপস্থিতিতে তারা টের পেয়ে দ্রুত সরে পড়েন। দরবারের আবাসিকের অন্য রুম গুলো অবস্থা আরো নাজুক। দরবার আবাসিক হোটেলে দুই থেকে তিন হাজার টাকা দিয়ে রাত্রি যাপন করার জন্য সুন্দরী রমণী পাওয়া যাচ্ছে। নিয়ম-শৃঙ্খলার তোয়াক্কা করছে না হোটেল কর্তৃপক্ষ, রাজনৈতিক শেল্টারে চলছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড। দলীয় নাম ভাঙিয়ে অসামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন হোটেল মালিকরা। হোটেলের মালিক বাবু সরাসরি প্রতিনিধি কে হুমকি দিয়ে বলেছে কোতোয়ালী থানার ওসি বলেছেন কোন সাংবাদিক আসলে বেদে রেকে ওসি কে কল দিতে। এ সকল অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের উপর চড়াও হন হোটেল কর্তৃপক্ষ। তারা সাংবাদিককে হুমকি প্রদান করেন এবং এক পর্যায়ে ক্যামেরায় হাত দিয়ে ভেঙে ফেলার হুমকিও প্রদর্শন করেন। সিনামা প্যালেসের মোড়ের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কিভাবে দিনে দুপুরে এসব অসামাজিক কর্মকাণ্ড চলছে, এমনটা জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করছে। এলাকাবাসীর দাবি, কিছুদিন আগে দরবার আবাসিকে অভিযান পরিচালনা করেছে। কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাছে এই বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন সময় হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে আসছি। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধে জনসচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। এই সকল অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি না হলে অপরাধীরা প্রতিনিয়ত অপরাধে লিপ্ত হবেন এবং তরুণ সমাজ সামাজিক অবক্ষয়ে আক্রান্ত হবে, এমনটাই দাবি সুশীল সমাজের।