নিজস্ব প্রতিনিধি :- চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা এলাকার নতুন ব্রিজ রাজাখালী আরকান সড়কের পাশেই বাকলিয়া যাওয়ার পথে সড়কের হাতের ডান পার্শ্বে চোরাই তেলের রমরমা বাণিজ্য চলছে। সিটি করপোরেশনের গাড়ির পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি থেকে প্রকাশ্যে চুরি হচ্ছে তেল। এ ছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের তেলের ভাউচার (ট্যাংক লরি) থেকেও তেল চুরি হচ্ছে। আর প্রকাশ্যে এসব চোরাই তেলের কারবার চললেও এ যেন দেখার কেউ নেই। রিয়ার অয়েল র প্রতিষ্টানের মালিক আনোয়ার হোসেন মানিক প্রতিনিধিকে জানান আমরা সাংবাদিক পুলিশ সবাইকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করি। প্রতিনিধি মানিকের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে বিভিন্ন সাংবাদিক এবং পুলিশ দের মাসিক টাকা দেওয়ার একটি তালিখা দিয়েছে, তালিকায় উল্লেখ আছে বিভিন্ন সাংবাদিক এবং পুলিশের নাম। চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানা এলাকায় রয়েছে ২টি চোরাই তেলের দোকান। দোকানে নেই কোনো সাইনবোর্ড। নেই বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমোদনসহ বিভিন্ন লাইসেন্সও। নতুন ব্রিজ থেকে বাকলিয়া যাওয়ার পতে রাজাখালী মেইন রোড়ে হাতের ডান পার্শ্বে গড়ে উঠেছে এসব ভাসমান তেলের ঝুপড়ি। চসিকসহ সরকারি ও বেসরকারি বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের গাড়ি থেকে চুরি করা তেল কিনতে বসানো হয়েছে এসব দোকান। রাতেও চলে রিযাজ অয়েলের চোরাই তেলের বড় কারবার। তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, চট্টগ্রাম রাজাখালী রাস্তার পাশে রয়েছে মারিকের তেলের দোকান। সেখানে দৈনিক দুই হাজার লিটার ডিজেল নামানো হয়। পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভাউচারের মাধ্যমে আসে এ তেল। প্রকাশ্যে এ কাজ করলেও চোরদের ধরার কেউ নেই। সব মিলিয়ে ৯ জনের সিন্ডিকেট নতুন ব্রিজে চোরাই তেলের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রত্যেকে পুলিশকে টাকা দেয় মাসওয়ারি। শুধু পুলিশ নয়, যেকোনো সংস্থাকে তারা টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে। অভিযোগ রয়েছে, এলাকার কথিত দলীয় নেতাদের প্রশ্রয়ে এসব দোকান গড়ে উঠেছে। এই বিষয়ে বাকলিয়া থানার ওসি কে কল দিয়ে মানিকের চোরাই তেলের দোকানে বিষয় জানতে চাইলে বলেন আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা, আজ আপনার মূখে শুনলাম আমি দ্রুত ব্যবস্তা নিচ্ছি