নিজস্ব প্রতিনিধ :- চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানা এলাকার সাগরিকা জহুর আহম্মদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সাথে ফ্লাইওভার পার হয়ে গোল চত্বর থেকে বামে সাগরপাড় টোল রোড় উঠতেই রাস্তার বাম পাশে সরকারী জায়গা দখল করে ক্যাশিয়ার আলির চোরাই তেলের রমরমা বাণিজ্য। সিটি করপোরেশনের গাড়ির পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি থেকে প্রকাশ্যে চুরি হচ্ছে তেল। এ ছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের তেলের ভাউচার (ট্যাংক লরি) থেকেও তেল চুরি হচ্ছে। আর প্রকাশ্যে এসব চোরাই তেলের কারবার চললেও এ যেন দেখার কেউ নেই। আলি প্রতিনিধিকে জানান আমরা সবাইকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করি। প্রতিনিধি আলির সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষদের মাসিক টাকা দেওয়ার একটি তালিখা দেখিয়েছে। চট্টগ্রামের পাহড়তলী থানা এলাকায় রয়েছে ১টি চোরাই তেলের দোকান। দোকানে নেই কোনো সাইনবোর্ড। নেই কোন বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমোদনসহ বিভিন্ন লাইসেন্সও। সাগরিকা স্টেডিয়াম গোল চত্বর থেকে বামে যাওয়ার পতে হাতের বাম পাশেই পার্শ্বে গড়ে উঠেছে আলির চোরাই তেলের ভাসমান ঝুপড়ি দোকান। চসিকসহ সরকারি ও বেসরকারি বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের গাড়ি থেকে চুরি করা তেল কিনতে বসানো হয়েছে এসব দোকান। রাতেও চলে আলির চোরাই তেলের বড় কারবার। তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, চট্টগ্রাম সাগরিকা স্টেডিয়াম পার হয়ে রাস্তার পাশে রয়েছে আলির তেলের দোকান। সেখানে দৈনিক দুই হাজার লিটার ডিজেল নামানো হয়। পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভাউচারের মাধ্যমে আসে এ তেল। প্রকাশ্যে এ কাজ করলেও চোরদের ধরার কেউ নেই। সব মিলিয়ে তারা তিন জনের সিন্ডিকেট নতুন সাগরিকা গোল চত্বরে চোরাই তেলের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। যেকোনো সংস্থাকে তারা টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে। এই বিষয়ে পাহাড়তলী থানার ওসি কে কল দিয়ে আলির চোরাই তেলের দোকানে বিষয় জানতে চাইলে বলেন আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা, আমি পাহাড়তলী থানায় কয়েক দিন হয়েছে মাত্র যোগদান করেছি, আজ আপনার মূখে শুনলাম আমি দ্রুত ব্যবস্তা নিচ্ছি